২৪৩৯ সেনা আত্মসমর্পণ, মারিউপোলে পূর্ণ বিজয় ঘোষণা রাশিয়ার - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শনিবার, মে ২১, ২০২২

২৪৩৯ সেনা আত্মসমর্পণ, মারিউপোলে পূর্ণ বিজয় ঘোষণা রাশিয়ার

 

২৪৩৯ সেনা আত্মসমর্পণ, মারিউপোলে পূর্ণ বিজয় ঘোষণা রাশিয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

দীর্ঘ আড়াই মাসেরও বেশি সময় যুদ্ধের পর অবশেষে রুশ বাহিনীর পূর্ণ দখলে এসেছে ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর মারিউপোল। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসির।


এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, মারিউপোলে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রধান ঘাঁটি আজভস্তাল ইস্পাত কারখানায় রয়ে যাওয়া ৫৩১ জন সেনাসদস্যের সবাই শুক্রবার আত্মসমর্পণ করেছে। মস্কোর দাবি, গত ১৭ মে থেকে এ পর্যন্ত ৪ দিনে আজভস্তাল ইস্পাত কারখানা থেকে ২৪৩৯ জন ইউক্রেনীয় সেনা আত্মসমর্পণ করেছে।


রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলা হয়, কারখানার বেসমেন্ট এলাকা, যেখানে এতদিন ইউক্রেনীয় সেনারা আত্মগোপন করেছিল—বর্তমানে রুশ বাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে।


এদিকে শুক্রবার ইউক্রেনের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের সেনা বাহিনীর সদর দফতর (আজভস্তালের) সেনাসদস্যদের ঐ এলাকা থেকে বের হওয়া এবং নিজেদের জীবন রক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল। তারা সেই নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করেছে।


আজভ সাগরের তীরবর্তী মারিউপোল শহরটি রুশ বাহিনীর কাছে কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই রাশিয়া এ শহরটি নিজেদের দখলে নেয়ার চেষ্টায় ছিল।


ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভিযান শুরুর পর ২ মার্চ মারিউপোলে প্রবেশ করে রুশ সেনারা। প্রান্তিক বিভিন্ন এলাকা দখলের পর ৪ মার্চ শহরটির কেন্দ্রীয় অঞ্চলের দিকে এগোতে শুরু করে রুশ বাহিনী।


এদিকে শহরের চতুর্দিক রুশ বাহিনী ঘিরে ফেলায় বিপদে পড়েন মারিউপোলের সাধারণ বেসামরিক মানুষজন। শহর থেকে বের হওয়ার প্রায় সব পথ বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন সময় মানবিক করিডরের মাধ্যমে অবশ্য তাদের বেশিরভাগকেই মারিউপোল থেকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, কিন্তু তারপরও সেখানে আটকা পড়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।


রুশ গোলার অব্যাহত আঘাত থেকে বাঁচতে অবশেষে তারা মারিউপোল শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে আজভস্তাল ইস্পাত কারখানার ভূগর্ভস্থ ঘরগুলোতে আশ্রয় নেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশু ও নারী ছিলেন। শহরের প্রায় সব এলাকায় রুশ সেনাদের হাতে পরাজিত হয়ে ইউক্রেনীয় সেনাদের একাংশও আশ্রয় নেন ঐ কারখানায়।


আজভস্তালের আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সেনারা দেশটির জাতীয় বীর হিসেবে আখ্যায়িত হচ্ছেন। ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তারা আশা করছেন, আত্মসমর্পণ করা এ সেনাদের অন্যান্য ইউক্রেনীয় সেনার মতো বন্দিবিনিময়ের মাধ্যমে ফিরিয়ে দেবে মস্কো। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও বলেছেন, আত্মসমর্পণ করা এ বন্দিদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আচরণ করা হবে।






Post Top Ad

Responsive Ads Here