![]() |
বন্যা-বর্ষা ও ভাঙন মোকাবিলায় আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে: পানিসম্পদ উপমন্ত্রী |
নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল জোনের চলমান কাজের অগ্রগতি নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম- ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল জোনের চলমান কাজের অগ্রগতি নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম- ছবি: সংগৃহীত
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, বন্যা, বর্ষা ও ভাঙন মোকাবিলায় সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। দুর্নীতি যাতে না হয় এবং কাজের গুণগত মান বজায় রাখতে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সারাদেশে তীব্র নদীভাঙন কবলিত ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে স্থায়ী সমাধানের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু চট্টগ্রামেই ১৩টি প্রকল্পে ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প চলমান রয়েছে।
শনিবার চট্টগ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল জোনের চলমান কাজের অগ্রগতি নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলী মো. রমজান আলী প্রামানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিবেন্দু খাস্তগীর, নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনামুল হক শামীম বলেন, কাজের ব্যাপারে কোনো প্রকার অনিয়ম, দুর্নীতি ও গাফিলতি সহ্য করা হবে না। এসব প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে চট্টগ্রামে নদীভাঙনের সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে। নদীভাঙন রোধে পর্যায়ক্রমে ভাঙন কবলিত সব এলাকায় স্থায়ী প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। আর এসব প্রকল্প সম্পন্ন হলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ অনেকাংশে জলাবদ্ধতা ও নদীভাঙন থেকে রক্ষা পাবে।
উপমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীর বাসযোগ্য বিশ্বমানের সুবিধা সম্বলিত বাংলাদেশ গড়তে চান। সেজন্য তিনি ডেল্টাপ্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নেরও ঘোষণা দিয়েছেন। আর এই মহাপরিকল্পনার সিংহভাগ কাজই পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে।