![]() |
| "সরানো হচ্ছে ধ্বংসস্তূপ, আলামত নিল ৩ দল | সময় সংবাদ" |
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে চলছে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ। সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত কনটেইনারগুলো। এছাড়া পুড়ে যাওয়া পণ্যের ধ্বংসাবশেষ স্তূপ করে রাখা হচ্ছে এক জায়গায়। শুক্রবার দিনভর ডিপোর ভেতর ঘুরে দেখা গেছে এসব চিত্র।
এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) তিনটি আলাদা দল। সকাল থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন নমুনা ও আলামত সংগ্রহ করে তারা।
ডিপোর ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা চলে যাওয়ার পর থেকে তাদের কর্মীরা ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু করেছেন। যেসব কনটেইনার এবং পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলোকে এক জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছেন তারা। এছাড়া যেগুলো অক্ষত রয়েছে সেগুলোকে অন্য জায়গায় সরানো হচ্ছে। এখনো কিছু কিছু কনটেইনারের ভেতর সামান্য আগুন জ্বলছে। সেগুলোতে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভাচ্ছেন তাদের কর্মীরা।
এদিকে, পরিদর্শনকালে ডিপোর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা তরল পদার্থ এবং পুড়ে যাওয়া বস্তুর পোড়া অংশের আলামত ও নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি দল। অন্যদিকে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সদস্যরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।
সিআইডি চট্টগ্রামের এসপি মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ খালেদ জানান, ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা বিভিন্ন আলামত ও নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। এরপর সেখান থেকে আসা ফলাফলের ভিত্তিতে তদন্ত কার্যক্রম চালানো হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনা-পরবর্তী সময়ে রাসায়নিকের প্রভাবে ডিপো এলাকার মানুষ এবং ঘটনাস্থলে থাকা ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়ছে, সেটি দেখবেন তারা। এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তিরা দীর্ঘমেয়াদে অসুস্থ থাকেন কি না, সেটি দেখবেন। এরপর একটি গাইডলাইন তৈরি করবেন।
তিনি আরো জানান, এ ধরনের ঘটনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শ্বাসনালি। এর সঙ্গে মানুষের মধ্যে যে ভীতি তৈরি হয়েছে, সেগুলোকেও সমানভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। স্থানীয় কারো কোনোরকম শারীরিক অসুবিধা দেখা দিলে অবহেলা না করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগের অনুরোধ জানান তিনি।
৪ জুন রাত ৮টার দিকে ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতর আগুন লাগে। খবর পেয়ে কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে একটি কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক থেকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণ ও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রানহানি হয়েছে ৪৬ জনের। এছাড়া দগ্ধ ও আহত হয়ে চট্টগ্রাম এবং ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন শতাধিক।

