
"বেতন নিয়ে মালিকের সঙ্গে মায়ের দ্বন্দ্ব, পিটিয়ে মারা হলো ছেলেকে | সময় সংবাদ"
বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় মায়ের সামনে ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- উপজেলার ছোট পাইকপাড়া গ্রামের আয়েজ উদ্দিনের ছেলে ৬৫ বছর বয়সী আফছার আলী ও ধারশুন গ্রামের সালামতের ছেলে ২৫ বছরের সাদেকুল ইসলাম ভোলা।
পুলিশ জানায়, চার বছর ধরে আক্কাছ আলীর ধানের চাতালে শ্রমিকের কাজ করছিলেন জোসনা বেগম। প্রথমে মাসে চার হাজার টাকা বেতন দিলেও পরবর্তীতে তাকে তিন হাজার টাকা দেওয়া হতো। কিন্তু গত মাসে তিন হাজার না দিয়ে আড়াই হাজার টাকা দেন। ৪ জুন টাকা কম দেওয়ার ঘটনায় চাতাল মালিক আক্কাছ আলীর সঙ্গে জোসনার ছেলে জুয়েলের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জুয়েলকে তিনি ইউক্যালিপটাস গাছের ডাল দিয়ে মারধর করেন। এর প্রতিবাদ করলে মামলার অপর পাঁচ আসামি দৌড়ে এসে হাতে থাকা লোহার রড, কাঠের বাটাম, বাঁশের লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জুয়েলকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন।
ছেলের চিৎকারে মা এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করা হয়। একই সঙ্গে আসামিরা তাকে বলেন, ‘কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা করানো যাবে না, যদি করা হয় তাহলে তার ছেলেকে মেরে লাশ গুম করে ফেলা হবে।’
নিরুপায় হয়ে অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে উপজেলার ছোট পাইকপাড়া গ্রামে নিজের ভাই সোহেলের বাসায় আশ্রয় নেন জোসনা। পরদিন প্রাণভয়ে সেখান থেকে কাহালুর দিপুইল গ্রামে তার ভাগ্নির বাড়িতে আশ্রয় নেন। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় সেখানে জুয়েল মারা যান। এ ঘটনায় থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন জোসনা।
দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার ভোরে অভিযুক্ত আফছার আলী ও সাদেকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিদের প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
