বৃদ্ধি পেয়েছে পরিবেশ দূষণ | সময় সংবাদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

রবিবার, জুন ১২, ২০২২

বৃদ্ধি পেয়েছে পরিবেশ দূষণ | সময় সংবাদ


বৃদ্ধি পেয়েছে পরিবেশ দূষণ | সময় সংবাদ
বৃদ্ধি পেয়েছে পরিবেশ দূষণ | সময় সংবাদ


সময় সংবাদ ডেস্ক:




 দেশে ভয়াবহ মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে দূষণ। এর মধ্যে বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, প্লাস্টিক ও পলিথিনের দূষণ অন্যতম। বাংলাদেশে ব্যাপক জনসংখ্যা এবং আর্থসামাজিক কর্মকাণ্ডের কারণে প্রাকৃতিক সম্পদ বিশেষত পানি, বায়ু এবং প্রতিবেশের ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশে শহরের শিশুদের একটা বড় অংশ বায়ু দূষণের শিকার। 



জনগণের ব্যাপক সচেতনতা ছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ করা অত্যন্ত দুরূহ।এ জন্যে সরকারি-বেসরকারি এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগ প্রয়োজন। পরিবেশ উন্নয়নে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। পরিবেশ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা না গেলে ভবিষ্যত্ প্রজন্মের জন্য পৃথিবীতে বসবাস করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে। প্লাস্টিক ও পলিথিনের দূষণ সারা পৃথিবীতেই ভয়াবহ সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণে জীববৈচিত্র্যের অপূরণীয় ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সমুদ্রে তিমি মাছ ও অন্যান্য প্রাণীর পেটে যাচ্ছে প্লাস্টিক। পাশাপাশি কাগজের ব্যাগ অথবা বারবার ব্যবহার করা যায় এমন ব্যাগের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এছাড়া প্লাস্টিকের রিসাইক্লিংয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া কথা বলেন সংশ্লিস্টরা।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিশ্বে প্রতি চার জনের মধ্যে অন্তত এক জনের মৃত্যু হয় পরিবেশগত দূষণের কারণে। প্রতি বছর সারা পৃথিবীতে বায়ুদূষণে মারা যায় প্রায় ৪২ লাখ মানুষ।


স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) এক সমীক্ষায় পাওয়া গেছে, যানবাহনের শব্দ দূষণের কারণে ১১ দশমিক ৮ শতাংশ ট্রাফিক পুলিশের শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের মধ্যে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ ট্রাফিক পুলিশের সাধারণভাবে মোবাইল ফোনে কথা শুনতে অসুবিধা হয়। ১৯ দশমিক ১ শতাংশ ঘরের অন্য সদস্যদের তুলনায় বেশি ভলিউম দিয়ে টিভি দেখতে হয়, উচ্চস্বরে কথা না বললে তাদের কথা শুনতে কষ্ট হয়, ৩৩ দশমিক ৯ শতাংশ ট্রাফিক পুলিশ উচ্চস্বরে কথা না বললে শুনতে পান না এবং ৮ দশমিক ২ শতাংশ ট্রাফিক পুলিশ কয়েক ঘণ্টা দায়িত্ব পালনের পর মাথাঘোরা, বমিভাব ও ক্লান্তির সমস্যায় ভোগেন।


পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ সোলায়মান হায়দার বলেন, আজ আমাদের সেন্ট মার্টিন মরতে বসেছে। সমুদ্রে এখন শুধু প্লাস্টিক আর প্লাস্টিক। মানুষ যদি নিজ থেকে একটু সচেতন না হয়, শুধু আমাদের পক্ষে এটা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। 


বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আফতাব আলী শেখ বলেন, আমরা যদি ই-ওয়েস্টের কথা বলি, অল্প দামে জিনিস কিনে যে দেশ সয়লাব করে দিচ্ছেন, এগুলো কোথায় রাখবেন? সমুদ্রতলে কোকের প্লাস্টিক বোতল, ক্যান পাওয়া যায়। এই ক্যান তো তাও একটা পর্যায়ের পড়ে ধ্বংস হতে পারে, কিন্তু প্লাস্টিক তো ১০০ বছরেও ধ্বংস হবে না। যে পরিমাণ প্লাস্টিক সাগরের নিচে জমা আছে, তা কয়েক শ বছরেও শেষ হবে না। আর এই প্লাস্টিক মানুষের দেহে বিভিন্ন আকারে প্রবেশ করে ক্ষতিসাধন করছে।



Post Top Ad

Responsive Ads Here