![]() |
চারঘাটে সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষিকা নগ্ন-শীলতাহানী শিকার | সময় সংবাদ |
ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী:
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সরাকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষিকা নগ্ন-শীলতাহানী শিকার হয়েছে। শুলুয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর সাহাবুল ও তার পক্ষের লোকজন বাহু শক্তির বলে শিক্ষিকাদের ওপর শারিরীক নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে মঙ্গলবার ইউএনও অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে ভুক্তভোগীরা ।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত বার্ষীকি উদযাপনের শেষে ওই ঘটনার সুত্রপাত ঘটে। উপজেলা তাতারপুর সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়েল সহকারী শিক্ষিকা রাহেলা পারভিন, ফাহিমা খাতুন, অন্তরা চৌধুরী, রূপালী বেগম এবং হোসনেয়ারা পত্রিকার প্রতিবেদক জানান, জাতীয় অনুষ্ঠান পালন শেষে শিক্ষকরা তাদের কক্ষে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ চিৎকার শুনে তারা বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নিকটে যান। ওই সময় ইউপি মেম্বার ও তার পক্ষের লোকজন নতুন ভবন নির্মাণের অনিয়ম নিয়ে উভয় পক্ষের বাকবিতান্ড শুরু হয়। ঘটনার একপর্যায়ে ইউপি মেম্বার অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করেন। ওই সময় বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরী মামুনুর রশিদ প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করে তারা।
পরক্ষনে সহকারী শিক্ষিকা রাহেলা পারভিনের মোবাইল ফোন জোড় পূর্বক নিয়ে ধারণকৃত সকল প্রমান ও তথ্য মুছে ফেলেন। ঘটে যাওয়া বিষয়ে অন্য শিক্ষিকারা প্রতিবাদ করতে তাদের সঙ্গে নগ্ন-শীললতা করেন ইউপি মেম্বর ও তার দলবল। এই তথ্য সত্য বলে নিশ্চিত বরেছেন স্কুল কমিটির সভাপতি তরিকুল ইসলাম, দাতা সদস্য নওশাদ ও অভিভাবক সদস্য রেনুকা বেগমসহ অনেকে। সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করছে উপজেলা শিক্ষা অফিস। এছাড়া শিক্ষক সমিতি থেকে একটি মানবন্ধন ও থানায় অভিযোগ দেয়া হবে। তবে বর্তমান তারা পররাষ্ট প্রতিমন্ত্রী, জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইএনও এবং জেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ জমা দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছ শিক্ষক সমিতির সভাপতি নাজমুল এবং সম্পাদক শমসের আলী।
প্রসঙ্গত, ইউপি সদস্য সাহাবুল বলেন, বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে অনিয়ম হচ্ছে। এই বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের কাছে জানতে গেলে তারা বলে স্কুল কমিটির বাহিরে কাওকে তারা জাবাবদীহিতা করতে বাধ্য নয়। তাছাড়া অনুমতি ছাড়া শিক্ষকরা মোবইল ফোনে ভিডিও ধারণ করছিল। যার কারনে সে মুঠোফোন নিয়ে তা মুছে ফেলেন।
নুতন ভবন নিার্মনে কোন ধরনের অনিয়ম করা হচ্ছে না বলে দাবি করেন ঠিাকদার আলমগীর হোসেন। একইভাবে উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, নিম্নমানের কাজের কোন সুযোগ নেই। স্থানীয় মেম্বার ও তার পক্ষের লোকজন ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে। বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নির্মাণে কোন ধরনের ত্রুটি নেই। প্রকৌশলী বিভাগের যে কোন কর্মকর্তা পরিক্ষা করে দেখতে পারেন বলে বক্তব্য দিয়েছেন চারঘাট প্রকৌশলী নুরল ইসলাম।
মঙ্গলবার শিক্ষিকা লাঞ্ছিত হওয়ার একটি লিখিত অভিযোগ পরিপেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সরজমিনে তদন্ত করে একটি রির্পোট জমা দেয়ার পরে প্রয়োজনয়ি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান, ইউএনও সোহরাব হোসনে।