![]() |
| ঘুমন্ত অবস্থায় মাদরাসা ছাত্রকে জবাই করে হত্যা |
মো: নাজমুল হোসেন ইমন, স্টাফ রিপোর্টার:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে এক মাদরাসা ছাত্রকে ঘুমন্ত অবস্থায় জবাই করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তারই সহপাঠীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রকে তাৎক্ষণিকভাবে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (২৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাটরা আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মাখফুনুল উলুম মাদরাসায়।
নিহত ছাত্রের নাম মো. নাজিম উদ্দিন (১৩), তিনি উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের ওবায়েদ উল্লাহর ছেলে।আটক ছাত্রের নাম আবু ছায়েদ (১৬), তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার টেঙ্গাপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম রুস্তম আলী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাজিম ও ছায়েদ দুজনই ওই মাদরাসার আবাসিক ছাত্র। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে টুপি পরা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে মাদরাসার শিক্ষকরা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।
তবে সেই বিরোধের জের ধরে ছায়েদ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পরে সে স্থানীয় বাজার থেকে ৩০০ টাকায় একটি ধারালো ছুরি কিনে আনে।রোববার রাতে অন্য সবাই ঘুমিয়ে পড়লে, গভীর রাতে ঘুমন্ত নাজিমের গলায় ছুরি চালিয়ে তাকে জবাই করে ফেলে।
![]() |
| ঘুমন্ত অবস্থায় মাদরাসা ছাত্রকে জবাই করে হত্যা |
নাজিমের গলার গোঙানির শব্দে সহপাঠীরা জেগে ওঠে এবং চিৎকার শুরু করলে মাদরাসার শিক্ষকরা ঘটনাস্থলে এসে ছায়েদকে আটক করেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম জানান,“খবর পেয়ে ভোররাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হত্যাকারী ছাত্রকে আটক করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, টুপি পরা নিয়ে পূর্বের বিরোধের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, নিহতের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আটক ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।


