![]() |
| ফরিদপুরে ধর্মঘটের ২য় দিন,পথে পথে পুলিশ |
ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরে পরিবহন ধর্মঘটের ফলে অন্যান্য জেলা শহর থেকে বিছিন্ন রয়েছে ফরিদপুর। বাস লঞ্চসহ ছোট খাট অন্যান্য যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
জনা যায়,পুলিশ বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে টহল দিচ্ছে। রাস্তায় গাড়ী তল্লাশী করছে। এতে সাধারন মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ছে। বৃহওর ফরিদপুরের অন্যান্য জেলা যপমন শরীয়তুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ি, গোপালগঞ্জ, এসব জেলা থেকে কোন যানবাহন আসতে দেওয়া হচ্ছে না। ছোট খাটো অটো,নছিমন করিমন রাস্তায় চলতে দেখলেই পুলিশ সেগুলোকে তল্লাশীর নামে থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে। এভাবেই পথে পথে বিত্রনপির নেতাকর্মী দের সমাবেশে স্হলে আসতে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ভাঙ্গা বিশ্বরোড মোড়, গোয়ালন্দ মোড়, মাঝকান্দির মোড়, তালমার মোড়, পুকুরিয়ার মোড়, শিবরামপুর মোড়, বসন্তপুর মোড়। এসব মোড় ছাড়াও বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের ব্যাপক তল্লাশী চলে।
অন্যদিকে আজ রাত ৮ টায় শেষ হবে ফরিদপুর জেলা মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদের ৩৮ ঘন্টার ধর্মঘট। সাধারন মানুষ পড়ছেন চরম ভোগান্তির মধ্য।জরুরী প্রয়োজনে বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে বাস ষ্টান্ডে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে। অনেকে অসুস্থ আত্মীয় স্বজন দেখতে যাবেন তাও পারছেন না।
এদিকে ফরিদপুরের কোমরপুরের আব্দুল আজিজ ইন্সটিটিউটের মাঠ এখন বিএনপির নেতা-কর্মী দিয়ে কানায় কানায় ভর্তি।নেতাকর্মীদের বক্তৃতা ইতিমধ্যে শুরু হয়েগেছে।কেন্দ্রীয় নেতারাও সমাবেশস্থলে এসে পৌছেছেন।
তবে ধর্মঘট ও পুলিশি তল্লাশিতে এখনও আটকের কোন খবর পাওয়া যায়নি। একই সাথে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে কোথাও কোন বাঁধা দেওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
ফরিদপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সুমন রঞ্জন সরকার জানান,শৃঙ্খলা ও জনগনের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা মাঠে পুলিশ মোতায়েন করেছি। বিএনপির নেতাকর্মীরা যেন কোন দাঙ্গা-ফ্যসাদ,সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ,হাঙ্গামা না করতে পারে সেই দিকে খেয়াল রেখে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। তারা যেন কোন প্রকার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শহরকে অস্থিতিশীল না করে এজন্য তল্লাসি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে নেতাদের কাছ থেকে ৪/৫ হাত আকারের দেশীয় বাঁশ জব্দ করা হয়েছে।এছাড়া যানযট এড়াতে আমরা শহরের মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করেছি।
জেলা বাস মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নাসির বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহাসড়কে তিন চাকার যান চালানো নিষেধ।উচ্চ আদালত ও একই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারন হল তিন চাকার হুইল।প্রসাশন কোন ব্যাবস্থা না নেওয়ায় আমরা ধর্মঘট ডেকেছি।এর সাথে বিএনপির সমাবেশের কোন সম্পর্ক নেই।

