হুইল চেয়ার নিয়ে প্রতিবন্ধী মেহেদীর বাড়িতে কাপ্তাই ইউএনও - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Wednesday, December 07, 2022

হুইল চেয়ার নিয়ে প্রতিবন্ধী মেহেদীর বাড়িতে কাপ্তাই ইউএনও

হুইল চেয়ার নিয়ে প্রতিবন্ধী মেহেদীর বাড়িতে কাপ্তাই ইউএনও
হুইল চেয়ার নিয়ে প্রতিবন্ধী মেহেদীর বাড়িতে কাপ্তাই ইউএনও


মহুয়া জান্নাত মনি,রাঙামাটি প্রতিনিধি:

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ১নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের কাঁটাপাহাড় নামক এলাকার বাসিন্দা সিএনজি চালক মোঃ মহসিনের ১৩ বছর বয়সী ছেলে মেহেদী হাসান রিফাত। যে জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী।


 রিফাত হাঁটতে পারেনা যার ফলে ইচ্ছা থাকলেও বাহিরে বের হতে পারেনা। সারাদিন ঘরবন্দি থাকতে হয় তাকে। তবে তার সবসময় খোলা আকাশের নিচে যেতে মন চায়। বাহিরে আলো বাতাস দেখার শখ, কিংবা ঘুরে বেড়ানোর শখই শুধু তার। গরীব মা বাবার কাছে তার আবদার শুধু এতটুকুই। কিন্ত তার গরীব পিতা সিএনজি চালক মোঃ মহসিন এর পক্ষে ছেলের এই শখ পুরণ করার সাধ্য নেই। কারন প্রতিবন্ধী রিফাতের এই শখ পুরণে তার পরিবারের দরকার একটি হুইল চেয়ার। যেখানে পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরাই অবস্থা, সেইখানে ছেলের এই শখ পুরণ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।


অবশেষে প্রতিবন্ধী রিফাতের এই শখ পুরণে এগিয়ে আসলেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী গব৷৷   কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান।  কাপ্তাই উপজেলা সমাজসেবা বিভাগের সহযোগিতায় কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে তাকে হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়েছে।  বুধবার কাটাপাহাড় এলাকায় মেহেদী হাসানের ভাঙা কুঁড়েঘরে গিয়ে তার হাতে এই হুইল চেয়ার তুলে দেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান। 


এইসময় তিনি বলেন, মেহেদী হাসান রিফাত যার বয়স মাত্র ১৩ বছর। যে জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধকতা নিয়ে বড় হয়েছে। তার বাবা একজন অসহায় গরীব সিএনজি চালক। ছেলের জন্য একটি হুইল চেয়ার পেতে তিনি বিভিন্ন জনের কাছে চেয়েও পাননি। সর্বশেষ কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রতিবন্ধী দিবসের অনুষ্ঠানে গেলে রিফাতের বাবা ও মা ছেলের জন্য একটা হুইল চেয়ার এর আবেদন করেন। যেটি পেলে ছোট্ট এই শিশুটি বাইরে বের হতে পারবে, খোলা আকাশের নিচে যেতে পারবে। মুলত তার এই ইচ্ছা পূরণ করতেই দ্রুত সময়ে আমরা সমাজসেবা অফিসের প্রতিবন্ধী সহায়তা সংস্থার সহযোগিতায় একটি হুইল চেয়ার নিয়ে এসেছি আজ। যেহেতু শিশু রিফাতের উপজেলায় যেতে কস্ট হবে তাই আমি নিজেই তার বাসায় এসে হুইল চেয়ারটি পৌঁছে দিয়েছি।




No comments: