ফরিদপুরে মাহেন্দ্র স্ট্যান্ডে হামলা ও মারপিট, ১৬টি মাহেন্দ্র গাড়ি ভাঙচুর - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫

ফরিদপুরে মাহেন্দ্র স্ট্যান্ডে হামলা ও মারপিট, ১৬টি মাহেন্দ্র গাড়ি ভাঙচুর

ফরিদপুরে মাহেন্দ্র স্ট্যান্ডে হামলা ও মারপিট, ১৬টি মাহেন্দ্র গাড়ি ভাঙচুর
ফরিদপুরে মাহেন্দ্র স্ট্যান্ডে হামলা ও মারপিট, ১৬টি মাহেন্দ্র গাড়ি ভাঙচুর


ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুর সদর উপজেলায় মাহেন্দ্র স্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ১৬টি মাহেন্দ্র ভাঙচুরের পাশাপাশি চালকদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন।


মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড় এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান।


আহতদের মধ্যে রাইফুল আলম, মামুন মণ্ডল, সলেমান শেখ ও মোতালেব মল্লিককে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।


স্থানীয়রা জানান, হাজরাতলার মোড়ে সালথাগামী মাহেন্দ্র স্ট্যান্ড এবং ভাঙ্গা রোড মোড়ে কানাইপুরগামী মাহেন্দ্র স্ট্যান্ড রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী সালথার গাড়ি ওই স্ট্যান্ডে দাঁড়াতে না পারলেও, যানজটের কারণে একটি মাহেন্দ্র সেখানে আটকা পড়ে। এ সময় চালককে মারধর ও আটকে রাখে প্রতিপক্ষ। খবর ছড়িয়ে পড়লে ২৫ থেকে ৩০ জন বহিরাগত এসে শ্রমিকদের পিটিয়ে আহত করে এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে।


মাহেন্দ্র চালকদের অভিযোগ, যুবদল নেতা মাসুদুর রহমানের অনুসারী শাহীন হাওলাদারের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে। চালক লিয়াকত আলী বলেন, “মাসুদুর রহমান ও শাহীন দীর্ঘদিন ধরে মাহেন্দ্র স্ট্যান্ড দখলের চেষ্টা করছেন। প্রতিদিন জোর করে মাহেন্দ্রপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা চাঁদা নেন। শ্রমিকরা দিতে রাজি না হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে।”


চালক রানা সরদার অভিযোগ করেন, “দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলাকারীরা স্ট্যান্ডে ঢুকে গাড়ি ভাঙচুর করে। বাঁধা দিলে অন্তত ১০ শ্রমিককে গুরুতর আহত করে।”


এ বিষয়ে শাহীন হাওলাদারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি, তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।


তবে যুবদল নেতা মাসুদুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি শ্রমিক রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নই। মাহেন্দ্র শ্রমিকদের নিজেদের ঝামেলা হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়াচ্ছে।”


ফরিদপুর জেলা মাহেন্দ্র শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হাকিম বলেন, “আমাদের ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ আখ্যা দিয়ে স্ট্যান্ড দখলের চেষ্টা চলছে। আজকের হামলা সেই পরিকল্পনারই অংশ।”


ফরিদপুর জেলা যুবদলের সভাপতি মো. রাজিব হোসেন বলেন, “ঘটনার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী কারও বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


ওসি আসাদউজ্জামান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি।



Post Top Ad

Responsive Ads Here