মেসিডোনিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত রাজিবের দাফন সম্পন্ন, জানাজায় মানুষের ঢল
আব্দুল্লাহ আল মামুন রনী, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ইউরোপের নর্থ মেসিডোনিয়ায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত রাজিব শিকদারের মরদেহ ২০ দিন পর নানা জটিলতা অতিক্রম করে দেশে এসে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকালে মরদেহ পৌঁছালে ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার গুনবহা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।
মৃতদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স বাড়ির আঙিনায় পৌঁছালে কান্নায় ভেঙে পড়েন রাজিবের মা মমতাজ বেগম। একমাত্র ছেলেকে হারানোর বেদনায় তাঁর আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর নর্থ মেসিডোনিয়ায় কাজে যাওয়ার পথে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশির সঙ্গে প্রাণ হারান রাজিব শিকদার। চার মাস আগে তিনি পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতার জন্য ওয়াল্ডার ভিসায় ইউরোপে গিয়েছিলেন।
রাজিব পৌরসভার ছোলনা গ্রামের আতিয়ার রহমান শিকদারের মেঝো ছেলে। পিতার দুই সংসার থাকায় মা–এর সঙ্গে গুনবহায় থাকতেন তিনি। দুই সৎ ভাই থাকলেও মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন রাজিব।
নানা জটিলতা শেষে বৃহস্পতিবার সকালেই তাঁর মরদেহ দেশে পৌঁছে। পরে ছোলনা সালামিয়া মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে ছোলনা পৌর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ছোলনা সালামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল জব্বার।
রাজিবের জানাজায় এলাকার সাধারণ মানুষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর-১ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ভিপি সামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু, জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী প্রফেসর ড. মো. ইলিয়াস মোল্যা, এনসিপির মনোনয়ন প্রত্যাশী জুলাই বিপ্লবী হাসিবুর রহমান অপু ঠাকুর, বোয়ালমারীর সাবেক পৌর মেয়র আব্দুস শুকুর শেখ, গুনবহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলামসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।