চট্টগ্রামে এ প্লাসধারী রেস্তোরাঁ ২৯টি : নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মূল্যায়ন - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, অক্টোবর ১৫, ২০২৫

চট্টগ্রামে এ প্লাসধারী রেস্তোরাঁ ২৯টি : নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মূল্যায়ন

চট্টগ্রামে এ প্লাসধারী রেস্তোরাঁ ২৯টি : নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মূল্যায়ন
চট্টগ্রামে এ প্লাসধারী রেস্তোরাঁ ২৯টি : নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মূল্যায়ন



মো: নাজমুল হোসেন ইমন, স্টাফ রিপোর্টার:

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) ২০২৪–২৫ অর্থবছরে চট্টগ্রাম নগরীর ২৯টি রেস্তোরাঁকে দিয়েছে ‘এ প্লাস’ গ্রেড। তবে জেলার কোনো উপজেলায় এ স্বীকৃতি পায়নি কোনো রেস্তোরাঁ।

নগরীর রেস্তোরাঁগুলো যেখানে ধীরে ধীরে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে এগোচ্ছে, সেখানে গ্রামীণ রন্ধনঘরগুলো এখনো অনেক পিছিয়ে — এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে এই সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান।


 নিবন্ধিত রেস্তোরাঁর সংখ্যা:

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চট্টগ্রাম নগর ও জেলা কার্যালয়ের অধীনে নিবন্ধিত রেস্তোরাঁ রয়েছে মোট ১,০৫০টি। এর মধ্যে নগরীতে ৫০০টি এবং জেলায় ৫৫০টি রেস্তোরাঁ।
এর মধ্যে ৫৩টি রেস্তোরাঁ পেয়েছে বি থেকে এ প্লাস পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রেড।

গ্রেডিং পদ্ধতি:

২০১৯ সাল থেকে রেস্তোরাঁগুলোর মান অনুযায়ী চার ধাপে গ্রেডিং শুরু করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

  • এ প্লাস (সবুজ): উত্তম

  • এ (নীল): ভালো

  • বি (হলুদ): গড়পড়তা

  • সি (কমলা): অনিরাপদ


রেস্তোরাঁর বাইরের সাইনবোর্ডে এই স্টিকার লাগানো বাধ্যতামূলক, যা প্রতিষ্ঠানটির খাদ্য নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতার মান প্রকাশ করে।


চট্টগ্রামে ‘এ প্লাস’ পাওয়া ২৯ রেস্তোরাঁ:

২০২৪–২৫ অর্থবছরে তিন ধাপের তদারকির মাধ্যমে ৩৩টি রেস্তোরাঁকে গ্রেডিং দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।


এর মধ্যে ২৯টি রেস্তোরাঁ পেয়েছে এ প্লাস গ্রেড, অর্থাৎ ৯০ নম্বরের ওপরে।

🔹 ৯৮ নম্বর: রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউ


🔹 ৯৫ নম্বর: জুবিল্যান্ট ফুডওয়ার্কস (জামালখান ও জিইসি শাখা), পতেঙ্গার রিভার ভিউ রেস্তোরাঁ


🔹 ৯৪ নম্বর: বারকোড ফুড জংশন (পতেঙ্গা), জুবিল্যান্ট ফুডওয়ার্কস (আগ্রাবাদ শাখা), সিলভার স্পুন, দ্য পেনিনসুলা চট্টগ্রাম, হোটেল সেন্টমার্টিন লিমিটেড


🔹 ৯৩ নম্বর: পিৎজা হাট (জিইসি), কে বেকারি (খুলশী), বারকোড ফুড জংশন (মুরাদপুর), দি ইটালিয়া চট্টগ্রাম (এম এম আলী রোড)


🔹 ৯২ নম্বর: গ্র্যান্ড মোগল (দামপাড়া), সাংরীলা চাইনিজ (আগ্রাবাদ), দি কপার চিমনি


🔹 ৯১ নম্বর: পিটস্টপ (লালখান বাজার), তাওয়া রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড লাউঞ্জ (খুলশী), দি কপার চিমনি (চকবাজার)


🔹 ৯০ নম্বর: ওয়াসার কাচ্চি ভাই, ওয়েল পার্ক রেসিডেন্স (জিইসি), মেরিডিয়ান হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট (জিইসি), দি প্যাভিলিয়ন (জিইসি), চিলক্স (জামালখান), পিৎজা বার্গ (জামালখান), বে লিফ (হালিশহর), দি গ্রিন শ্যাডো (আগ্রাবাদ), হোটেল জামান অ্যান্ড বিরিয়ানি হাউস (আগ্রাবাদ)


এছাড়া এ গ্রেড (৮৪–৮৭ নম্বর) পাওয়া চারটি রেস্তোরাঁ হলো —


ক্যাফে বায়েজিদ (বায়েজিদ), তায়েফ রেস্টুরেন্ট (হালিশহর), দাওয়াত রেস্টুরেন্ট (জামালখান) এবং ঘরনা রেস্টুরেন্ট (আগ্রাবাদ)


কীভাবে আবেদন করতে হয়:

রেস্তোরাঁ গ্রেডিংয়ের জন্য প্রতিষ্ঠান মালিককে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবর নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হয়।

আবেদনের সঙ্গে দিতে হয় ১৩ প্রকার তথ্য ও ৯টি নথি, যেমন—
জাতীয় পরিচয়পত্র, ট্রেড লাইসেন্স, প্রিমিসেস লাইসেন্স, স্বাস্থ্যসনদ, ফায়ার সার্ভিস ছাড়পত্র, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ইত্যাদি।

এছাড়া নিরাপদ খাদ্য আইন–২০১৩ ও সংশ্লিষ্ট বিধিমালা অনুসারে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতেও হয় আবেদনকারীকে।


 মূল্যায়নের মানদণ্ড:

রেস্তোরাঁগুলোকে মোট ৮টি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে ১০০ নম্বরের মধ্যে মূল্যায়ন করা হয়-

  • প্রশাসনিক বিষয়: ৮

  • পরিবেশ ও প্রদর্শন: ১৪

  • ভোক্তার সঙ্গে আচরণ: ৯

  • পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা: ১৬

  • স্বাস্থ্যবিধি: ২০

  • কর্মীদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি: ৬

  • খাদ্য মজুদ ও সংরক্ষণ: ১৯

  • ব্যবস্থাপনা: ৮


চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোহাম্মদ ফারহান ইসলাম সময় সংবাদকে বলেন-

“এ প্লাস পাওয়া মানে এই নয় যে রেস্তোরাঁটি একেবারে ‘নিষ্পাপ’। এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। নিয়মিত তদারকির মাধ্যমেই এই মান বজায় রাখতে হয়। যদি কোনো রেস্তোরাঁর মান উন্নত হয়, পরবর্তী গ্রেডিংয়ে তা আরও ভালো ফল পাবে, আবার মান কমলে গ্রেডও নেমে যাবে।”


 

Post Top Ad

Responsive Ads Here