![]() |
| ঝিনাইদহে ১৬ ছাত্রীর যৌন হয়রানির অভিযোগে এক কলেজ শিক্ষক সাময়িক বহিষ্কার |
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার এমএ খালেক মহাবিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের প্রভাষক নজরুল ইসলামের (৪৯) বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করা ও যৌন হয়রানির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই ক্যাম্পাসজুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
কলেজ সূত্র জানায়, অন্তত ১৬ জন ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দিয়ে জানান যে, শিক্ষক নজরুল ইসলাম তাদের মোবাইলে প্রায়ই আপত্তিকর বার্তা পাঠাতেন এবং সরাসরি দেখা হলে অশালীন মন্তব্য করতেন। এক ভুক্তভোগী ছাত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “স্যারকে আমরা শ্রদ্ধা করতাম। কিন্তু তিনি বারবার ফোনে আপত্তিকর মেসেজ দিতেন। রিপ্লাই না করলে সরাসরি অশোভন আচরণ করতেন।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম দাবি করেন, তাঁর মোবাইল ফোন ‘হ্যাক’ হয়েছিল এবং সেখান থেকে বার্তাগুলো পাঠানো হয়। তবে কীভাবে ৪–৫ মাস ধরে ফোন হ্যাক অবস্থায় ছিল— এ প্রশ্ন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন। তাঁর এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মো. ওলিয়ার রহমান বলেন, “অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় জরুরি সভা করে অভিযুক্ত শিক্ষক নজরুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও জানানো হয়েছে।”
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসনে আরা জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং জেলা শিক্ষা অফিসকেও বিষয়টি অবহিত করা হবে।
ঘটনাটি প্রকাশের পর এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষকতার মতো সম্মানজনক পেশায় এ ধরনের অভিযোগ নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্কের নিরাপত্তা ও নৈতিকতা নিয়ে।

