![]() |
| মিটার না দেখেই বিদ্যুৎ বিল প্রস্তুত: দুলার হাট থানায় গ্রাহকদের চরম ভোগান্তি |
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি:
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলার হাট থানায় বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মিটার না দেখেই বিল প্রস্তুত করার অভিযোগ উঠেছে। মাঠপর্যায়ে গিয়ে প্রকৃত মিটার রিডিং না নিয়ে অনুমানভিত্তিক বিল তৈরি করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ গ্রাহকরা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা গ্রাহকদের বাড়িতে গিয়ে মিটার রিডিং না নিয়েই কাগজে-কলমে বিল তৈরি করছেন। এর ফলে অনেক গ্রাহকের প্রকৃত ব্যবহারের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি বিল আসছে, যা পরিশোধ করতে গিয়ে তারা আর্থিক সংকটে পড়ছেন।
দুলার হাট এলাকার একাধিক গ্রাহক জানান, “আমাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ ব্যবহার সীমিত হলেও অস্বাভাবিক বেশি বিল এসেছে। মিটার পরীক্ষা করার অনুরোধ জানালেও কেউ আসেন না। অফিসে গেলেও সঠিক কোনো সমাধান পাওয়া যায় না।”
স্থানীয় গ্রাহক মো. নুরে আলম ও হাফেজ জুবায়ের বলেন, “পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকলেও মিটার সচল রাখতে নিয়মিত চার্জ পরিশোধ করছি। অথচ মাস শেষে দুই হাজার টাকা বিল আসে। পরবর্তী মাসে তিন হাজার টাকা যোগ হয়ে পাঁচ হাজার টাকার বেশি বিল ও জরিমানা দেখানো হচ্ছে, দেখার যেন কেউ নেই।”
চরতোফাজ্জল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জহুরা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, “আমার টিনশেড ঘরে গত দুই মাস ধরে কোনো ভাড়াটিয়া নেই, এমনকি মিটারের মূল সুইও বন্ধ। তবুও গত মাসে ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং চলতি মাসে ৩ হাজার টাকা বিল ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু সংযোগ রাখলেই হাজার টাকার বেশি বিল গুনতে হচ্ছে। সংশোধনের জন্য বারবার অফিসে যেতে হচ্ছে, আর বিল না দিলে সংযোগ বিচ্ছিন্নের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।”
স্থানীয়দের দাবি, নিয়ম অনুযায়ী প্রতি মাসে মিটার রিডারকে সরাসরি মিটার দেখে রিডিং নেওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে তা মানা হচ্ছে না। এতে একদিকে গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন, অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিভাগের ওপর মানুষের আস্থা ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
এ বিষয়ে দুলার হাট এলাকার বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বক্তব্য জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় সচেতন মহল দ্রুত তদন্ত করে মিটার না দেখে বিল প্রস্তুতের অনিয়ম বন্ধ এবং ভুক্তভোগী গ্রাহকদের হয়রানি নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

