জাহাঙ্গীর আলম, টাঙ্গাইল
গরমে কদর বেড়েছে মধুপুরের রসালো আনারসের, লাভের মুখ দেখছে চাষীরা। টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার পুরো এলাকা জুড়েই আনারসের চাষ হয়। মধুপুরের অরণখোলা, শোলাকুঁড়ি, আউশনাড়া ইউনিয়নে আনারস সবচেয়ে বেশি চাষ হয়। এসব এলাকায় চাষ হওয়া আনারসের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় আনারস হল জলডুগি ও জায়ান্টকিউ। চলতি বছর মধুপুরে সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে আনারস চাষ হয়েছে। শালবন লাগোয়া গ্রামগুলোতে শুধুই আনারসের বাগান। ওই সকল বাগানগুলোতে পাকা আনারসের আধিক্য। চোখ জুড়ানো সৌন্দর্যে বাগানগুলো। ওই উপজেলায় প্রতিটি বাড়ীর পাশেই রয়েছে আনারসের বাগান।
সকাল থেকেই জমে ওঠে মধুপুরের জলছত্র, গারো বাজার, মধুপুর বাজার ও ২৫ মাইল বাজারে আনারসের হাট। ওই হাটে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের চাষীরা কেউ বাইসাইকেলে ঝুলিয়ে, কেউ ঘোড়ার গাড়িতে, কেউ পিকআপ ভ্যানে করে বিক্রী করার জন্য ঠেলে নিয়ে আসে আনারস। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা আনারস ক্রয় করার জন্য আসে ওই হাটে। এ সময় ব্যবসায়ীরা রাস্তার মুখেই ঘিরে ধরে বিক্রেতাদের কম দামে সবার আগে আনারস ক্রয় করার জন্য।
প্রাকৃতিকভাবে আষাঢ়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শ্রাবণের শেষান্তে আনারস পাকার মৌসুম। তবে সারা বছরই মধুপুরের আনারস বাজারে পাওয়া যায়। গারো বাজার, মধুপুর বাজার ও ২৫ মাইল বাজারে আনারসের ক্রয়-বিক্রয় হলেও জলছত্র বাজার মহাসড়ক ঘেঁষে থাকায় ওই বাজারে বেশির ভাগ ব্যবসায়ীরা অবস্থান করে।
মধুপুর উপজেলার আনারস চাষীরা জানান, এ বছরে আনারসের ফলনও ভাল হয়েছে। গরমের কারণে আনারসের চাহিদা বেশি, ফলে বিক্রীও বেশি। বিক্রয় বেশি হওয়ার সুবাদে আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছি।