দেড় যুগেও সংস্কার হয়নি টাঙ্গাইল শহর রক্ষা বাঁধ।SHOMOY SANGBAD - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

সোমবার, জুলাই ০৯, ২০১৮

দেড় যুগেও সংস্কার হয়নি টাঙ্গাইল শহর রক্ষা বাঁধ।SHOMOY SANGBAD

জাহাঙ্গীর আলম, টাঙ্গাইল
দীর্ঘ দেড় যুগেও সংস্কার হয়নি টাঙ্গাইল শহর রক্ষা বাঁধ। ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০০ সালে ৪৭ কিলোমিটার দীর্ঘ টাঙ্গাইল শহর রক্ষা বাঁধ। সংস্কারের অভাবে হুমকি মুখে রয়েছে এ বাঁধটি। বিশেষ করে বাঁধের পূর্বাংশ পুংলি ব্রিজ থেকে মহেলা, আগবেথর, পাছবেথর, শালিনা, বার্থা হয়ে করটিয়া পর্যন্ত বাঁধের বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে।
এছাড়া বাঁধের পুরো অংশটি ভেঙে গেলে টাঙ্গাইল শহর, গালা, ঘারিন্দা, করটিয়া ইউনিয়নসহ বাসাইল উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকার বাড়িঘর, ফসলি জমি, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ-মাদ্রাসা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
ঘুরে দেখা যায়, ঢালান শিবপুর ঘাট থেকে যুগনি পর্যন্ত প্রধান সুইচগেট এলাকাসহ শিবপুর ও শ্যামার ঘাট এলাকায় বাঁধের বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। একইভাবে প্রতিনিয়ত শহর রক্ষা এই বাঁধের বিভিন্ন অংশে যানবাহন চলাচলের কারণে ডেবে গেছে। গত বছর বন্যার সময় রামদেবপুর এলাকার বাসিন্দারা নিজ উদ্যোগে মাটি ফেলে কোনোরকমে বাঁধের রামদেবপুর অংশটিকে রক্ষা করেছিল।
মহেলা আদর্শ গ্রামের মো. বাদশা মিঞা শহর রক্ষা বাঁধ দ্রæত মেরামতের দাবি জানিয়ে বলেন, বাঁধটা ভেঙে গেলে টাঙ্গাইল শহর অধিকাংশ স্থান পানিতে তলিয়ে যাবে। সরকার যেন দ্রæত বাঁধটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়।
টাঙ্গাইল পৌর এলাকার বাসিন্দারা জানান, শহর রক্ষা বাঁধটি শুধু শহরই রক্ষা করছে না, বছর বছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের উপার্জনে ব্যাপক সহায়তা করছে। নিম্নআয়ের মানুষগুলো শহরে উপার্জন করে পরিবার-পরিজন নিয়ে দিনাতিপাত করতে সক্ষম হচ্ছে। কাজেই বাঁধটি রক্ষা করা জরুরি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান সিরাজ বলেন, শহর রক্ষায় ৪৭ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। তবে এরই মধ্যে কিছু কিছু জায়গায় ভাঙন পরিলক্ষিত হচ্ছে। ভাঙনকবলিত গ্রামগুলোর মধ্যে মহেলা, পাছবেথর, রানাগাছা, বার্থা অন্যতম। এসব এলাকায় স্থায়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা দাখিল করা হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

Post Top Ad

Responsive Ads Here