ঝিনাইদহে প্রধান শিক্ষিকাকে হাতকেটে নেওয়ার হুমকি - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Tuesday, September 17, 2019

ঝিনাইদহে প্রধান শিক্ষিকাকে হাতকেটে নেওয়ার হুমকি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ   
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ বেগম কে হাত কেটে প্রান নাশের হুমকি দিয়েছে যার কারনে সোমবার ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। রোজ সোমবার ঝিনাইদহ পুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক গন ঝিনাইদহ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগে জানায় যে গত ১৪ ই সেপ্টেম্বর রোজ শনিবার পুটিয়া (দুর্গা নারায়ন পুর) গ্রামের শফিউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে পলাশ বিশ্বাস নামের এক স্থানীয় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ ১২ টা ৩০ মিনিটের সময়ে মডেল টেস্ট চলাকালে অফিস কক্ষে প্রবেশ করে তার নিজের জন্য ৫ম শ্রেণী পাশের একটি সনদ চায়। তাকে এই সনদ দেওয়ার ক্ষমতা নেই বললে সে রেগে যায় এবং অফিসের ফাইল প্ত্র ও টেবিল ফেলে দেয়। সেই সাথে প্রধান শিক্ষকের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি দেয় অশ্লিল ভাষায় গালা গালি করে। এক পর্যায়ে ৩/৪ দিনের মধ্যে হত্যা করবে বলে জানায়। 

উক্ত ঘটনার পরের দিন ১৫ তারিখ রোজ রবিবার আবার এসে প্রত্যয়ন প্ত্র চাইলে প্রধান শিক্ষক প্রত্যয়ন প্ত্র লিখছিল সেই সময়ে সে প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে টান মেরে ছিঁড়ে ফেলে বলে যে আমার সার্টিফিকেট দরকার। বলে আবার অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে স্কুলের মধ্যেই প্রধান শিক্ষক কে মারধর করতে যায়। এখন জীবন ভঁয়ে আর স্কুল করতে পারছেন না। 

প্রধান শিক্ষক অভিযোগে আরও উল্লেখ করে যে উক্ত ঘটনার প্রায় মাস খানেক আগে এই পলাশ বিশ্বাসের নেতৃত্বে স্কুল ভবন তৈরি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিকট চাঁদা দাবী করে শ্রমিক দের মারপিট করে কাজ বন্ধ করে দেয়। এই মর্মে তাদের নামে একটি মামলা হয়েছে। 

সরেজমিনে গেলে দেখা যায় স্কুল খোলা সুধু দপ্তরী আছে। কমল মতি ছাত্র ছাত্রীরা শিক্ষকদের জন্য অপেক্ষা করছে। চাঁদার দাবীতে মার খাওয়া শ্রমিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলে যে মার খাওয়ার পর আমি প্রায় ১ মাস কাজ করতে পারিনি। ঘটনাটা সকল গ্রাম বাসী অবগত আছে।

পলাশ বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে তার নিকট জানতে চাইলে সে বলে যে আমার সার্টিফিকেট কেন দেবে না? তাহাছাড়া প্রধান শিক্ষক স্কুলের অনুদানের আসা সকল টাকা মেরে খেয়ে ফেলে। যদি সে এই ব্যাপারে কোন অভিযোগ করে থাকে তাহলে আমি লোক জন নিয়ে  ঢাল সড়কি নিয়ে যেয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করব। আমি ঐ স্কুলে পড়েছে তাহলে কেন আমার সার্টিফিকেট সে দেবে না? 

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা বলে যে আমি জানার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে অবগত করেছি। 
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মী ইসলাম বলে যে ঘটনা জানার পর আমি ঝিনাইদহ সদর থানা কে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।

ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ বলে যে ঘটনা জানতে পেতে পলাশ বিশ্বাস করে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ পাঠান হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এই কথা বলার ১০ মিনিট পর বেলা ২ টা ৩০ মিনিটের দিকে দেখা যায় যে নারিকেল বাড়ীয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বদ রুল, পলাশ বিশ্বাসকে থানায় ধরে নিয়ে এসে থানা হাজতে প্রেরন করে। তখন আবার অফিসার ইন চার্জের নিকট পলাশ বিশ্বাসের গ্রেফতারের কথা জানতে চাইলে সে বলে যে এখনই তাকে গ্রেফতার বলা যাচ্ছে না। এস পি সার্কেল এসে তাকে জিজ্ঞাসা বাদের পর বলা যাবে সে গ্রেফতার কি না?

No comments: