মহিউদ্দিন চৌধুরীর রাজনীতি ছিল সৃষ্টিধর্মী- আমির হোসেন আমু - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

সোমবার, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯

মহিউদ্দিন চৌধুরীর রাজনীতি ছিল সৃষ্টিধর্মী- আমির হোসেন আমু



কুতুব উদ্দিন রাজু,চট্টগ্রাম :
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাবেক সিটি মেয়র আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার আমির হোসেন আমু বলেছেন, মহিউদ্দিন চৌধুরীর রাজনীতি ছিল বলিষ্ঠ। রাজনৈতিক জীবনে তিনি যতগুলো দায়িত্ব পালন করেছেন প্রত্যেকটি পদের সুবিচার তিনি করে গেছেন। সিনসিয়ার দায়িত্ব পালন করেছেন বলেই মহিউদ্দিন চৌধুরী আজ মহিউদ্দিন চৌধুরী। 

তিনি বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে আমার সখ্যতা অনেক দিনের। সচরাচর গৎ বাঁধা রাজনীতি মহিউদ্দিন চৌধুরী কখনোই করেননি। তিনি ছিলেন সৃষ্টিধর্মী রাজনীতিক। নতুন নতুন চিন্তা পরিকল্পনা  করে তা বাস্তবায়নে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। তিনি জানতেন জনমানুষের ভালবাসা পেতে হলে আগে মানুষকে ভালবাসতে হবে। মহিউদ্দিন চৌধুরী মানুষের ভালবাসাকে টার্গেট করে রাজনীতি করেছেন। 
১৫ ডিসেম্বর দুপুরে নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মহিউদ্দিন চৌধুরীর মেয়রের দায়িত্ব পালনকালীন সময়ের কথা বলতে গিয়ে আমু বলেন, তিন বার মেয়রের দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে মহিউদ্দিন চৌধুরী কিভাবে চট্টগ্রামকে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়া যায় তার চিন্তা করেছেন। তিনি প্রকল্পের জন্য কখনো তদবির করেননি। তার নীতি ছিল নিজের সম্পদকে ব্যবহার করে আয়ের উৎস খুঁজে বের করা। আর তা দিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা। এই মহিউদ্দিন চৌধুরী দুই দুই বার মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা হয়ে। তিনি চট্টগ্রামের স্বার্থে সরকারের সাথে অনেকবার মত  দ্বৈততায় জড়িয়েছেন। 
চট্টগ্রামের প্রতি ছিল মহিউদ্দিন চৌধুরীর মায়ের টান। একবার তিনি জাপান গেলেন। আমরাও একই সফরের সঙ্গী ছিলাম। তিনি সেখানেও জাপান সরকারের কাছে চাইলেন চট্টগ্রামের জন্য উন্নয়ন সহায়তা। চট্টগ্রামের উন্নয়নে তিনি ছিলেন সদা চিন্তিত এক মানুষ। তাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার হওয়ার অফার করা হয়। কিন্তু তিনি বললেন কেন্দ্রীয় রাজনীতি করে চট্টগ্রামের কি হবে। আমি চট্টগ্রামেই আছি। চট্টগ্রামকে নিয়েই থাকব। 

আলোচনা সভায় মহিউদ্দিন চৌধুরীর পুত্র বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, আমার বাবা জাতীয় রাজনীতিতে চিরকালীন নিস্পৃহ ছিলেন। তার হৃদয়ে ছিল চট্টগ্রাম আর আওয়ামী লীগ। চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগকে কিভাবে শক্তিশালী করা যায়?  চট্টগ্রামকে কিভাবে উন্নত নগরে পরিণত করা যায় এটাই ছিল তার ধ্যান জ্ঞান। সুষ্ঠু সুশৃঙ্খল দলীয় শক্তি ছিল বাবার সংগ্রামের পাথেয়।

তিনি বলেন, কর্মীরাই দলের মূল ভিত্তি এই সত্য আমার বাবা ধারণ করতেন। কর্মীদেরকে ব্যবহার করে নেতা হয়ে তাদের জীবনমানের চিন্তা না করা একজন রাজনীতিকের সত্যিকার আদর্শ হতে পারে না। কর্মীরা নিরাশ হলে রাজনৈতিক শক্তি ধীরে ধীরে দুর্বল হতে বাধ্য। আমার বাবা কর্মীদেরকে মূল্যায়ন করতেন। স্নেহ ভালবাসায় আগলে রাখতেন।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্ব ও প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমদ, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, 

নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, নগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আলহাজ শফর আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলমসহ ওয়ার্ড, থানা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।


Post Top Ad

Responsive Ads Here