মধুপুর প্রতিনিধি:টাঙ্গাইলের মধুপুরে অনিয়মের অভিযোগে বিআরডিবি কর্মকর্তা লিটন মোহন দেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার(৩ মার্চ)সন্ধ্যায় নানা অনিয়মের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হওয়ায় টাঙ্গাইল জেলা বিআরডিবির উপপরিচালক একেএম জাকিরুল ইসলাম তাকে তাৎক্ষনিকভাবে (স্ট্যান্ড রিলিজ) অবমুক্ত করার আদেশ দেন।
আদেশ কপিতে বলা হয়েছে,মধুপুর বিআরডিবি কর্মকর্তা লিটন মোহন দে সমবায়ীদের নিকট থেকে ঋণের টাকা আদায় করে হস্তমজুদ ও বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম করায় সমবায়ীদের ক্ষোভ ও অসন্তোষের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেয়া হয়।
এর আগে মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৬ টি সমিতির সভাপতি ও ম্যানেজার টাকা আতœসাতের অভিযোগে বিআরডিবির চেয়ারম্যান মো.নুরুল আলম খান রাসেল এর নিটক লিখিত অভিযোগ করেন।
উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে টাকা তছরুপের প্রাথমিক প্রমান পাওয়া যায়। মঙ্গলবার সকালে বিআরডিবির টাঙ্গাইলের উপপরিচালক এ কে এম জাকিরুল ইসলাম মধুপুরে আসলে লিটন মোহন দের বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমান পেশ করেন নুরুল আলম খান রাসেল। এ সময় বিআরডিবি কর্মকর্তা লিটন মোহন দে ২ লাখ ১৪ হাজার ৯২০ টাকা তছরুপের কথা স্বীকার করে পরিশোধের জন্য লিখিত অঙ্গীকার করেন।
মধুপুর বিআরডিবির কর্মকর্তারা জানান,উপজেলার বিআরডিবি কর্মকর্তা সমবায়ীদের টাকা হস্তমজুদ ছাড়াও অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতাও উত্তোলন করে আতœসাৎ করেছেন।
বিআরডিবির চেয়ারম্যান মো.নুরুল আলম খান রাসেল আরও জানান চেয়ারম্যান হিসাবে আমার সম্মানী ভাতার টাকা গ্রহণ না করে সমবায়ীদের মাঝে বিতরণ করতে বলেছি,কিন্তু সে তানা করে উল্টো আমার সম্মানী ভাতার টাকা উত্তোলন করে আতœসাৎ করেছেন।