ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী থেকে:
পঞ্চগড়ের ৪ জেএমবির সদস্যের ফাঁসি ও একজনের যাবজ্জীবন রায় দিয়েছেন রাজশাহী দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার রায়ে। ২০১৬ সালে পঞ্চগড়ের সোনাপাতা এলাকার শ্রী শ্রী সন্ত গৌড়ীয় মঠের প্রধান পুরাহিত যজ্ঞাশ^রকে গলা কেটে হত্যা মামালায় রায়ে গাইবান্ধা হেলার সাঘাটা থানার র্পূব ওসমানগনির ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন, বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানাধীন ক্ষুদ্র কুষ্ঠিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে রাজিবুল ইসলাম মোল্লা, পঞ্চগড় জেলার দেবিগঞ্জ থানার দেবগঞ্জ কামাতপাড়া গ্রামের রফিকুলের ছেলে আলমগীর হোসেন এবং প্রধানবাদ মসজিদপড়া গ্রামের মৃত আবল খায়েরের ছেলে রমজান আলী। 
২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ১০ আসামির মধ্যে চারজন বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। ২০১৬ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি ভোরে দেবীগঞ্জ উপজেলা সদরের চীন-মৈত্রী সেতু সংলগ্ন সোনাপাতা এলাকায় পুরোহিত যজ্ঞেশ্বরকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ওই সময় গুলিবিদ্ধ হন ওই মঠের আরেক সেবক। এ ঘটনায় ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই রবীন্দ্রনাথ রায়। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে আরও দু’টি মামলা দায়ের করে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ।
পঞ্চগড়ের সোনাপাতা এলাকার শ্রী শ্রী সান্ত গৌড়ীয় মঠের প্রধান পুরোহিত যজ্ঞেশ্বরকে গলা কেটে হত্যা মামলায় শীর্ষ জঙ্গি নেতা জাহাঙ্গীর ওরফে রাজীব গান্ধীসহ ৪ জনের ফাঁসি আদেশ দিয়েছেন রাজশাহীর দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনাল। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলার অপর তিন আসামি হলেন রাজিবুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন ও রমজান আলী। তাদের মধ্যে রাজিবুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।  একইসঙ্গে মামলার ৫ নম্বর আসামি হারেজ আলী ও ৬ নম্বর আসামি খলিলুর রহমানকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়। তাদের জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে অপর দু’টি মামলায় সাক্ষগ্রহণ শুরু হয় এবং একই সঙ্গে হত্যা মামলাটির অভিযোগ গঠন করা হয়।

