ঢাকা থেকে ফরিদপুর এসে করোনা শনাক্ত হলো পিতা ও পুত্র

স্টাফ রিপোর্টার : 

সরাসরি ঢাকা থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের ল্যাবে এসে নমুনা দেয়ার পর তাদের শরীরে পাওয়ো গেলো করোনা ভাইরাস। গত শুক্রবার ঢাকা থেকে ফরিদপুর আসে পিতা-পুত্র। ফরিদপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সুত্রে শনিবার দুপুরে এ তথ্য জানা গেছে। এ নিয়ে ফরিদপুর জেলায় এ পর্যন্ত ২৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলো।

করোনা আক্রান্ত পিতা ও পুত্রের বাড়ি ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের বিলনালিয়া গ্রামে। পিতার বয়স ৫৫ ও ছেলের বয়স ২৪। পিতা ঢাকায় একটি পত্রিকার কার্যালয়ে মেশিনম্যান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঢাকায় থাকেন। বাবা ঢাকায় অসুস্থ হয়ে পড়লে এবং তার শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে ছেলে গতকাল বাবাকে নিয়ে ফরিদপুরে আসেন। এসময় তারা বাড়িতে না গিয়ে সরাসরি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে গিয়ে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষার জন্য দুজনেই নমুনা দেন।

ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ফরিদপুরে শনিবার নতুন করে দুই করোনা রোগি শনাক্ত হওয়ায় জেলায় এ পর্যন্ত মোট ২৬ জনের করোনা শনাক্ত হলো। এই ২৬ জনের মধ্যে ফরিদপুর সদরে ৭, নগরকান্দা ও বোয়ালমারীতে ৫ জন করে, ভাঙ্গায় ৩, চরভদ্রাসন ও আলফাডাঙ্গায় ২ জন করে এবং সদরপুর ও মধুখালীতে ১ জন করে।

সিভিল সার্জন আরও বলেন, এর মধ্যে চারজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এর মধ্যে নগরকান্দার ২জন, ভাঙ্গা ১ জন ও বোয়ালমারীর ১ জন রয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা আইসোলশন ওয়ার্ডে ৭ জন করোনা রোগি ভর্তি রয়েছেন। আর করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৫ জন রোগি। শনিবার নতুন দুইজন রোগি বেড়ে এ পর্যন্ত জেলায় আক্রান্ত হয়েছে মোট ২৬ জন করোনা রোগি।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান জানান, সদরের কৈজুরি ইউনিয়নের পিতা-পুত্রের বাড়িসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।