শর্ত মেনে মসজিদে নামাজ আদায় শুরু - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, মে ০৭, ২০২০

শর্ত মেনে মসজিদে নামাজ আদায় শুরু


শর্ত সাপেক্ষে বৃহস্পতিবার জোহরের ওয়াক্ত থেকে মসজিদে জামাতে নামাজ আদায় শুরু করেছেন মুসল্লিরা।


এর আগে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত ৪ এপ্রিল এবং ২৩ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, জুমা এবং রমজান মাসের তারাবির জামাত সীমিত আকারে আদায়ের জন্য নির্দেশনা দেয়। এরপর দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম-ওলামারা পবিত্র রমজানুল মোবারক মাসের গুরুত্ব বিবেচনা করে মসজিদে নামাজ আদায়ের শর্ত শিথিল করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার জোহরের ওয়াক্ত থেকে মসজিদে জামাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার অনুমতি দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার বায়তুল মোকাররমে জোহরের নামাজ পড়ে মাহবুব নামে একজন বলেন, মসজিদ আল্লাহর ঘর। মসজিদে নামাজ পড়ে যে শান্তি পাওয়া যায়, ঘরে নামাজ পড়ে সেই শান্তি পাওয়া যায় না। তই করোনা নিয়ে ভয় থাকলেও মসজিদে নামাজ পড়তে এসেছি। সরকারের দেয়া নির্দেশনা মেনেই মসজিদে নামাজ আদায় করা হয়েছে।

বায়তুল মোকাররমে নামাজ আদায় করা আরেক মুসল্লি বলেন, আজ থেকে মন খুলে মসজিদে আসার পরিবেশ শুরু হয়েছে। আশা করি এটা অব্যাহত থাকবে। আমরা সবাই স্বাস্থ্য বিধি মেনে নামাজ আদায় করবো।

রামপুরার বিভিন্ন মসজিদেও মুসল্লিদের জামাতে নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে। সালামবাগ জামে মসজিদে নামাজ আদায় করে মহিউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি বলেন, মসজিদে সীমিত পরিসরে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকায় অনেকদিন মসজিদে আসা হয়নি। এখন অনুমতি দেয়া হয়েছে তাই মসজিদে জোহরের নামাজ আদায় করলাম। অনেক ভালো লাগছে।

যেসব শর্ত মেনে মসজিদে নামাজ পড়া যাবে তা হলো-

মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। 

মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাপনাসহ সাবান পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসুল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পড়ে মসজিদে আসতে হবে। 

প্রত্যেকে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে। অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। 

কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব অর্থাৎ তিন ফুট পরপর দাঁড়াতে হবে। 

এক কাতার অন্তর-অন্তর কাতার করতে হবে। 

শিশু, বৃদ্ধ, যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওজুখানায় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

মসজিদে ইফতার ও সেহরির আয়োজন করা যাবে না।

উল্লেখিত শর্ত পালন সাপেক্ষে প্রত্যেক মসজিদে সর্বোচ্চ পাঁচজন নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ইত্তেকাফ এর জন্য অবস্থান করতে পারবেন।

করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামদের অনুরোধ করা যাচ্ছে। 

খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উল্লেখিত নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা- কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লেখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হল।




সময়/দেশ/নাজ

Post Top Ad

Responsive Ads Here