কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে অষ্টম দফায় ভাসানচরের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার ত্যাগ করেছেন পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গা।
শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে নয়টি বাসে ৩৮৯ জন এবং বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ১৪৮ জন রোহিঙ্গা নিয়ে ছয়টি বাস উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠ থেকে চট্টগ্রামের নেভাল ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এ সময় খালি বাস, মালামাল নিয়ে একাধিক কাভার্ডভ্যান ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপত্তা টিমের বহর চট্টগ্রামের পথেই ছিল।
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর সপ্তম দফায় ৩৭৯ জন রোহিঙ্গা উখিয়া ত্যাগ করে। ২৫ নভেম্বর তারা ভাসানচর পৌঁছান।
কক্সবাজার ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তে উখিয়া-টেকনাফ ক্যাম্প থেকে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা ভাসানচর স্থানান্তর হবে। কাউকে জোর করে নয়, সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জানানোর পর যারা স্বেচ্ছায় যেতে রাজি হচ্ছেন তাদের জড়ো করে নির্ধারিত একটি দিনে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ যাত্রা চলমান থাকবে।
তিনি আরও বলেন, অষ্টম দফায় পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গা ভাসানচর যাওয়ার পথে রয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে জাহাজে তোলার পর সঠিক সংখ্যা জানা যাবে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝিদের (নেতা) মতে, ভাসানচর যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গারা নিজ নিজ ক্যাম্প ইনচার্জ কার্যালয়ে নাম জমা দেন। তবে ভাসানচরের পরিবেশ, থাকা খাওয়ার সুবিধা সম্পর্কে ব্রিফিং করার পর যারা যেতে রাজি হচ্ছেন তাদের নিবন্ধনের মাধ্যমে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
কক্সবাজার-১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) নাইমুল হক নাইম জানান, দুই ভাবে বিভক্ত হয়ে রোহিঙ্গাদের আরও একটি দল শুক্রবার ভাসানচরের উদ্দেশ্যে উখিয়া ত্যাগ করেছে।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি সময় পর্যন্ত আট দফায় প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরের অধিবাসী হয়েছে। তারা ছাড়াও গত বছরের মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়।