
"বিদ্যালয় যেন এক টুকরো বাগান | সময় সংবাদ"
দিনাজপুর প্রতিনিধি
বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে কাটা মেহেদী গাছ দিয়ে তৈরি বড় অক্ষরে লেখা রয়েছে ৬৫ নম্বর সাবেক গুলিয়াড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ ফটক দিয়েই স্কুল ড্রেস পড়ে কোমলমতি শিশুরা ব্যাগ কাঁধে নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে। এছাড়া কাটা মেহেদী গাছের ঢোগা মোড়ানো ফটক যা দৃষ্টিনন্দন বাগানের ফটক।
প্রবেশ করেই চোখে পড়বে কাটা মেহেদী গাছ দিয়ে তৈরি সুসজ্জিত শহীদ মিনার, জাতীয় পতাকা, শাপলা ফুল, নৌকা, কুঁড়েঘর, ফুলের টপ, আয়না, সোফা সেট, টেবিল, হেলিকপ্টার, ফুটন্ত লাল টকটকে জবাফুল. গোলাপি জবা ফল, সাদা জবাফুল, কাটা মেহেদী গাছের বিভিন্ন জিনিসপত্র আর ফুলন্ত ফুলের বাগানটি যেন ছাত্রছাত্রীদের ডাকছে ইশারায়। এমন দৃশ্যে মুগ্ধ দর্শনার্থীরাও।
এই সুসজ্জিত কাটা মেহেদী গাছের গাছের বাগানের নেশায় ছুটে আসছে শিক্ষার্থীরা। সবুজের ঘেরা বিদ্যালয়ের অপরূপ দৃশ্য আর মনোরম পরিবেশ ও লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকে বাগানে সময় কাটানো শিক্ষকের সঙ্গে নিজেরাই বাগান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও পানি ঢালার কাজটি করে থাকে শিক্ষার্থীরা। বলছিলাম দিনাজপুরের খানসামার ভাবকি ইউপির সাবেক গুলিয়াড়া গ্রামের ৬৫ নম্বর সাবেক গুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কথা।
নিয়মিত পাঠদান, খেলাধুলা ও শিক্ষকদের আন্তরিকতায় বিদ্যালয়টি জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসেবে সুনাম অর্জন করতে শুরু করেছে। বিশেষ করে এই বিদ্যালয়ের ব্যতিক্রমী কাটা মেহেদী গাছ দিয়েই বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক মনোমুগ্ধ বাগান যেন আলাদাভাবে দৃষ্টিনন্দন বৃদ্ধি করেছে। অনেক দূর-দূরান্ত থেকেও দর্শনার্থীরা এই বিদ্যালয়ে আসতে শুরু করেছেন। এক সময় এই অজপাড়া গ্রামকে অনেকেই চিনতেন না। এখন সাবেক গুলিয়াড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাগানের সৌন্দর্যতার দেখার জন্যই এখন গ্রামটি পরিচিত হয়ে উঠছে ।
১৯৮৯ সালে এই গ্রামের কিছু শিক্ষানুরাগী নিজস্ব প্রচেষ্টায় গ্রামের নাম অনুসারে সাবেক গুলিয়াড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপন করেন। ২০১৩ সালে এ বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। তখন থেকেই এই বিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয়েছে ৬৫ নম্বর সাবেক গুলিয়াড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। করোনাকালে বিদ্যালয়টিও বন্ধ থাকার সময়ে বিদ্যালয়ের শোভা
