পাখির প্রতি মৃত্যুঞ্জয়ের ভালোবাসা | সময় সংবাদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

রবিবার, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২২

পাখির প্রতি মৃত্যুঞ্জয়ের ভালোবাসা | সময় সংবাদ

 

"পাখির প্রতি মৃত্যুঞ্জয়ের ভালোবাসা | সময় সংবাদ"

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি


পুলিশের মতো কঠিন পেশায় থেকেও পশু-পাখিদের প্রতি ভালোবাসার এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন কুষ্টিয়া ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস। পেশা হিসেবে পুলিশের চাকরি এমনিতেই অনেক কঠিন। তার ওপর পেশা যদি হয় ট্রাফিক পুলিশের তাহলে তো কথাই নেই! তারপরও কঠিন এই পেশার ফাঁকেই বছরের পর বছর প্রতিদিন নিয়ম করে শত শত পাখিদের নিজ হাতে খাবার খাওয়াচ্ছেন পাখি প্রেমী পুলিশ কর্মকর্তা মৃত্যুঞ্জয়। 

অভুক্ত পাখিদের মুখে খাবার তুলে দেয়ার পাশাপাশি পাখিদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল গড়ে দেয়া, নির্বিচারে পাখি শিকার বা পাখি নিধন বন্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ পাখিদের অভয়ারণ্য গড়ে তোলারও কাজ করে যাচ্ছেন মৃত্যুঞ্জয়। এ সব কিছুই তিনি করছেন পশু-পাখিদের প্রতি নি:স্বার্থ ভালোবাসা থেকে। গাঁটের টাকা খরচ করে এভাবে বছরের পর বছর ধরে পাখিদের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছেন মৃত্যুঞ্জয়।



 এ কাজে আলোচনা-সমালোচনারও যেন শেষ নেই। ভূয়সী প্রশংসার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ এমনকি সহকর্মীদের অনেকেই তাকে পাগল বলে মন্তব্য করে থাকেন। তবে প্রখ্যাত উপস্থাপক হানিফ সংকেত পাখি প্রেমী মৃত্যুঞ্জয়কে নিয়ে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে একটি প্রতিবেদন প্রচার করার পর থেকে মৃত্যুঞ্জয় এখন রীতিমত ভাইরাল।


পশু-পাখিদের প্রতি ভালোবাসার এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন কুষ্টিয়া ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস।

পশু-পাখিদের প্রতি ভালোবাসার এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন কুষ্টিয়া ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস।



‘জীবে প্রেম করে যে জন, সে জন সেবিছে ঈশর’ এই বাক্যটি মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন মৃত্যুঞ্জয়। ছোট বেলা থেকেই মৃত্যুঞ্জয় পশু-পাখিদের প্রতি একটা আলাদা টান অনুভব করতেন। কিন্তু পাখিদের নিয়ম করে প্রতিদিন দুবেলা খাওয়ানোর গল্পের শুরু ২০২০ সালে।


মৃত্যুঞ্জয় জানান, তখন করোনা মহামারি চলছে। কর্মস্থল চুয়াডাঙ্গা জেলা ট্রাফিক পুলিশে। করোনার বিধিনিষেধের কারণে খাবারের হোটেল-রেস্তোরাঁ, দোকান-পাট সব কিছুই বন্ধ। এরকম একদিন পাখিদের অনেক কিচিরমিচির শব্দ শুনতে পাই। তখন আমার উপলদ্ধি হয় পাখিরা হয়তো অভুক্ত। ক্ষুধার জ্বালায় তারা এরকম করছে। এরকম উপলদ্ধি থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের কোন এক সকালে চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বরে পাখিদের খাবার দেয়া শুরু করি। চানাচুর, মুড়ি, বিস্কুটের গুঁড়া ছিটানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই দল বেঁধে পাখিরা খাবারের জন্য ছুটে আসত। এভাবে নিয়ম করে প্রতিদিন দুবেলা সকাল-বিকেল পাখিদের খাবার দিতাম।




Post Top Ad

Responsive Ads Here