সাবেক এমপি মতিয়ার রহমান তালুকদারের জানাজায় মানুষের ঢল - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২০, ২০২৫

সাবেক এমপি মতিয়ার রহমান তালুকদারের জানাজায় মানুষের ঢল

 

সাবেক এমপি মতিয়ার রহমান তালুকদারের জানাজায় মানুষের ঢল
সাবেক এমপি মতিয়ার রহমান তালুকদারের জানাজায় মানুষের ঢল

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, বরগুনা-৩ (আমতলী–তালতলী) আসনের সাবেক দুইবারের সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বরগুনা জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মো. মতিয়ার রহমান তালুকদারের জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে। বৃহস্পতিবার সকালে তালতলী ও আমতলী উপজেলায় পরপর দুটি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।


সকাল ১০টায় তালতলী সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা এবং সকাল ১১টায় আমতলী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি, বরগুনা জেলা বিএনপি, উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, দলীয় সমর্থক এবং সাধারণ মানুষের উপচেপড়া উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।


জানাজায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বরগুনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদ্য ঘোষিত মনোনীত প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ও কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এবিএম মোশারফ হোসেন, বরগুনা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব হুমায়ুন হাসান শাহিনসহ দলীয় বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা।


মরহুমের দুই সন্তান মো. সিদ্দিকুর রহমান আরিফ তালুকদার, আশিকুর রহমান তালুকদার, ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নাসির উদ্দিন তালুকদার, ক্যাপ্টেন (অব.) মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদারসহ স্বজন ও সর্বস্তরের মানুষ জানাজায় অংশ নেন।


গত ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মতিয়ার রহমান তালুকদার (৮০) মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর সন্তানরা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করায় তাঁদের দেশে ফেরার পর দাফনের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। বৃহস্পতিবার সকালে হেলিকপ্টারযোগে মরদেহ তালতলীতে আনা হয়।


জানাজা শেষে তাঁকে আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে বাবার পাশে দাফন করা হয়।


আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান তালুকদার ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে প্রথমবার বরগুনা-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ হাসিনার সঙ্গে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায়僅 ৪ হাজার ভোটে পরাজিত হন। শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ আসন রেখে দিলে ওই আসনে উপনির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে তিনি জয়লাভ করেন এবং দ্বিতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন।


তিনি ১৯৯১, ১৯৯৭, ২০০১ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এবং ২০০৮, ২০১৮ সালে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করলেও জয় পাননি। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বরগুনা-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তবে প্রাথমিক তালিকায় নাম না থাকায় তিনি মনঃকষ্টে ছিলেন বলে জানা গেছে।

Post Top Ad

Responsive Ads Here