![]() |
| সালথায় গ্রেপ্তার এড়াতে নাটকীয় পদত্যাগ ঘোষণা দিলেন আ’লীগের দুই নেতা |
সালথা(ফরিদপুর)প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ শুরুর পর গ্রেপ্তার এড়াতে নাটকীয়ভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজ নিজ এলাকায় নামমাত্র ব্যানার টানিয়ে কথিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা দলীয় পদ থেকে পদত্যাগের কথা জানান।
পদত্যাগকারীরা হলেন সালথা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলু মাতুব্বর এবং সোনাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য জালাল মোল্লা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে তারা বিভিন্ন পদ-পদবী ব্যবহার করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার এবং রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসছিলেন। সম্প্রতি রাজনৈতিক পরিবর্তন ও দলীয় অবস্থান দুর্বল হওয়ায় নিজেদের অবস্থান রক্ষায় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়াতে এই নাটক সাজিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ফজলু মাতুব্বর লিখিত বক্তব্যে বলেন, “আওয়ামী লীগের যে পদ ছিল, আজ থেকে আমি তা থেকে পদত্যাগ করলাম। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকবো না। বিএনপির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সেই পথেই চলতে চাই।”
অপরদিকে জালাল মোল্লা জানান, “আমি মহল্লাভিত্তিক রাজনীতি করি। আওয়ামী লীগের কোন পদে আছি তা জানতাম না। শুনেছি আমাকে সাধারণ সদস্য করা হয়েছে। আজ থেকে সব পদ থেকে পদত্যাগ করলাম। বিএনপির আদর্শ আমাকে মুগ্ধ করেছে, তাই বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হতে চাই।” তিনি বলেন, তিনি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির হাত ধরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদান করেছেন বলে দাবি করেন।
তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, এই দুই নেতা তাদের পদত্যাগপত্র দলীয় কোনো সাংগঠনিক ইউনিটে জমা দেননি। কেবল একটি ব্যানার টানিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিজেদের রক্ষা করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। দলীয় কোনো পদত্যাগের স্বীকৃতি এখনও পাওয়া যায়নি।
সালথার রাজনৈতিক মহলে মনে করা হচ্ছে, ‘ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ অভিযানের কারণে গ্রেপ্তার এড়াতে এবং নিজেদের অবস্থান সুরক্ষিত করতে তারা এই নাটক সাজিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনা চলছে।

