ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের সালথায় তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করায় আসামীর স্বজনেরা মামলার বাদিকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে মামলার বাদি শিশুটির চাচা পারভেজ সালথা থানায় গত ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন। এ অবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন শিশুটির পরিবার। তারা অভিযুক্তদের দ্রæত গ্রেফতারের জোর দাবি জানিয়েছেন।
থানায় দাখিলকৃত ওই জিডিতে পারভেজ অভিযোগ করেন, আসামীর স্বজনেরা মুরাদ শেখ (৪৫), হানিফ মুন্সি (৫০) ও লুৎফর মুন্সি (৪০) তাকে দেখে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ওই মামলা তুলে না নিলে যেকোন সময় ক্ষতি করে দিবে বলে হুমকি দেয়।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ সাধারণ ডায়রী দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, গত ২০ অক্টোবর রবিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ঐ শিশু শিক্ষার্থী মাঠে খেলা করছিল। এসময় কানাইড় গ্রামের কুদ্দুস শেখের পুত্র বিদ্যালয়ের দপ্তরী সুজন শেখ (২৪) ও তার বন্ধু তেগাতিয়া গ্রামের মতিন খলিফার ছেলে সোহাগ খলিফা (১৮) শিশুটিকে ফুসলিয়ে বিদ্যালয়ের পুরাতন পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে দপ্তরী সুজনের সহযোগীতায় তার বন্ধু সোহাগ শিশুটিকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। শিশুটি যন্ত্রনায় চিৎকার করলে শিশুটিকে ছেড়ে দিয়ে দুইজন পালিয়ে যায়। পরে শিশুটি বাড়ীতে গিয়ে তার মাকে ঘটনাটি জানায়। এ সময় শিশুটির শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় অভিভাবকেরা তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়। খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ রাতেই দুইজনকে গ্রেফতার করে। পরদিন সকালে শিশুটির চাচা বাদী হয়ে দুই জনকে আসামী করে সালথা থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা নং ১৬ তারিখ ২১/১০/২০১৯।
শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিপূণ মজুমদার বলেন, শিশুটির জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন আদালত। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে পারবো না। তবে আদালতে দাখিলকৃত প্রতিবেদনে তিনি দাবি করেন যে, ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে মামলার সাথে আসামীদের জড়িত থাকার সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।

