করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যেই রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বিপণিবিতানগুলো খোলার বিষয় নিয়ে মিটিং করছেন ব্যবসায়ী নেতারা। তবে সিদ্ধান্ত জানতে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তওফিক এহসান।
এ বিষয়ে ডেইলি বাংলাদেশকে তিনি বলেন, সরকার আমাদের বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মার্কেট চালু রাখার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা চিন্তা করে আমরা মার্কেট খোলার পক্ষে ছিলাম না। আমাদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী যারা আছেন তারা হয়তো দোকান খুলবেন। সরকারি নিয়ম ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তাদেরকে ব্যবসা করতে হবে।
তিনি বলেন, দোকান খোলা বিষয়ক সিদ্ধান্ত নিতে সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন জোনে মিটিং করছেন দোকান মালিকেরা। বৃহত্তর এলিফেন্ট রোড এলাকায় ৪২টি মার্কেট ও গাউছিয়া এলাকায় ১১টি মার্কেটের সব দোকানিদের সম্মতিক্রমে সন্ধ্যায় জানা যাবে মার্কেট খোলা নাকি বন্ধ থাকবে।
তবে তৌফিক এহসান জানান, তিনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে মার্কেট খোলা রাখার পক্ষে নন। কিন্তু সভার সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেবেন।
এদিকে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিনও আপাতত জোনাল মিটিংগুলোর সিদ্ধান্ত পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। তিনি বলেন, আমরা নিজেদের মত কারো উপর চাপিয়ে দেব না। দোকান মালিকেরা নিজেদের সিদ্ধান্ত নেবেন। তাদের মিটিং আগে শেষ হোক, সেখানে কি সিদ্ধান্ত হয় সেটি জানি। তারপর কথা বলবো।
সীমিত পরিসরে ১০ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সরকার। তবে সরকারি সিদ্ধান্ত থাকলেও দেশের সবচেয়ে বড় শপিংমল বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স ও যমুনা ফিউচার পার্ক নিজেদের শপিং মল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আগেই জানি দিয়েছে। তবে ঢাকার অন্যান্য মার্কেটের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খোলা নিয়ে এখনো বেশ দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন।
যেমন জননিরাপত্তার স্বার্থে বায়তুল মোকাররম মার্কেট ঈদের আগ পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার দোকান মালিক সমিতি। অন্যদিকে আবার ফ্যাশন শপ আড়ং কর্তৃপক্ষ তাদের ব্যবসা খুলবে বলে জানিয়েছে। শর্ত মেনে আগামী ১০ মে থেকে সীমিত আকারে সারাদেশে থাকা তাদের ২১টি আউটলেটের মধ্যে ১৭টিই খোলা থাকবে বলে জানা গেছে।
সময়/রাজ