আকোটের চর ইউনিয়নের কাশফুলের বাগান |
নিউজ ডেস্ক সময় সংবাদ ডটকমঃ
ইদানীং কাশফুলের কদর যেভাবে বেড়েছে তাতে ভবিষ্যতে আরো অনেক কিছুর কদর বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলো। পদ্মার পলিতে জন্ম নেওয়া কাশফুল দেখে দেখেই বড় আমরা। পদ্মার বড় বড় ঢেউ, ভয়াল স্রোতস্বিনীর স্রোত , প্রতিনিয়ত ভাঙনের চিত্র এখানকার মানুষকে অভস্ত্য করে তুলেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের তিনটি জেলায় (ফরিদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং ঢাকা) এই কাশফুলের দেখা মিলছে। এখানে গিয়ে সাধারণ মানুষেরা প্রচুর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড দিচ্ছে। নেটিজেন দুনিয়ায় বেশ প্রশংসাই কুড়িয়েছে।
বিশেষ করে এর প্রথম ভাগেই রয়েছে আমার জন্ম স্থান তথা ফরিদপুর জেলায়। ফরিদপুর জেলার (জেলা সদর থেকে ৩০/৩৫ কি.মি দূরে ) সদরপুর উপজেলার আকোটের চর ইউনিয়নের চরে দেখা মিলে বিশাল এই কাশফুলের সমারোহ । দূরদূরান্ত থেকে অনেক অতিথি ঘুরতে আসে এখানে ।
একসময় মনে করা হতো কাশফুল হারিয়ে যেতে বসেছে। শরৎ এলে তেমন দেখা মিলতো না এই কাশফুলের। আকাশে সাদা মেঘে এবং শরতের কাশফুলের বিশাল এই মনোরম চিত্র অনেককেই এবার নতুন করে বিমোহিত করেছে এবং প্রেমে ফেলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুধু কাশফুলের ছবি আর কাশফুলের ছবি ভেসে বেড়াচ্ছে।
ফরিদপুর জেলার এই উপজেলার পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ছয়বাড়িয়া ইউনিয়নে একই চিত্র দেখা মেলে। পাশাপাশি ঢাকা জেলার আফতাবনগর, দিয়াবাড়ি, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এবং দক্ষিণ কেরানিগঞ্জেও। নদী মাতৃক এই দেশটাতে কাশফুলের চিত্র এবার বেশ প্রশংসাই কুড়িয়েছে।
নতুন করে এই কাশফুল হয়তো অনেককে কবি বানাবে, অনেকের যৌবনে রস ফিরে পাবে। আকোটের চরটি হয়ে উঠবে কাশফুলের রাজ্যে।
লিখেছেনঃ নাজমুল
চরভদ্রাসন, ফরিদপুর।
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
No comments:
Post a Comment